ভরদুপুর বেলা। চারিদিকে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছে। খাবারের সন্ধানে আসা পাখিরা সন্ধ্যা ঘনিয়েছে ভেবে তাদের নীড়ে ফিরে গেছে। রাস্তায় শাঁ শাঁ করে এগিয়ে চলেছে গাড়ির হেডলাইটগুলো। আবার কোথাও কোথাও থমকে আছে এসব গাড়ির দীর্ঘ সারি। সঙ্গে চলছে বজ্রপাতের ঝলকানি আর তীব্র বাতাসের বেগ। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝুপ করে ঝড়ো বৃষ্টিও নেমে আসে। সবমিলে এ যেনো অন্যরকম আবহওয়া।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এমন দৃশ্যই নেমে আসে রাজধানীতে। কালবৈশাখী ঝড় আর ঝড়ো বৃষ্টিতে ঘণ্টা খানেকের জন্য সব যেনো এলোমেলো করে দিয়ে যায়। মানুষের মনে আনন্দ-ভয়ের অন্যরকম অনুভূতি জোগায় ক্ষণিকের জন্য। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘এখন রাত ১২টা’। ‘সবকিছু অন্ধাকার হয়ে আসছে।’ ‘এখন গভীর রাত।’ এরকম নানা পোস্ট দিয়েছেন। আবার অনেকে বজ্রপাত নিয়ে সচেতনও করছেন।
সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে বজ্র-বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বা আরও অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবণা রয়েছে।
এদিকে বজ্রপাতে রোববার দেশের নয় জেলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে নিহত হয়েছেন পাঁচজন ও মাগুরায় চারজন। দুজন করে প্রাণ হারিয়েছেন নোয়াখালী ও নওগাঁয়। গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, গোপালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে মারা গেছেন একজন করে।
বিঃদ্রঃ-নিজস্ব প্রতিবেদকের তথ্যের ওপর নিজস্ব নিউজ ওয়েবসাইটনিজস্ব নিউজ ওয়েবসাইট পোর্টাল থেকে সর্বাধিক প্রাচারিত প্রকাশিত
এই সাইটের নিউজ অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন