রাকিবুল ইসলাম সোহাগ- নিজস্ব প্রতিনিধি-সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের চাঞ্চল্যকর মনির হোসেন মনি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। ২০২২ সালে মনিকে হত্যা করা হয়। তখন এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলা হলেও ৯ মাস পর তদন্তে বেড়িয়ে এলো আসল ঘটনা।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় পানিতে ডুবে মৃত্যু। শাহজাদপুর থানা-পুলিশও তদন্ত করে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হিসেবে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআই তদন্ত করে দেখে এটি ছিল হত্যাকাণ্ড।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের চাঞ্চল্যকর মনির হোসেন মনি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। ২০২২ সালে মনিকে হত্যা করা হয়। তখন এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলা হলেও ৯ মাস পর তদন্তে বেড়িয়ে এলো আসল ঘটনা।
এর আগে মনির বাবা হারুন আর রশিদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে এটাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজির পর মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে ১৩ আগস্ট আসামিদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের দুজন এ হত্যার দায় স্বীকার করে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত বছরের ১০ নভেম্বর দুপুরে মনির হোসেন শাহজাদপুর উপজেলার রুপপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ১২ নভেম্বর করতোয়া নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে মনির বাবা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।রেজাউল করিম বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী নারাজি দিলে মামলাটির তদন্তের ভার আসে আমাদের হাতে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করেতে গিয়ে দেখতে পাই, পানিতে ডুবে মৃত্যু হলেও মৃতের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
এর আগে মনির বাবা হারুন আর রশিদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে এটাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজির পর মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে ১৩ আগস্ট আসামিদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের দুজন এ হত্যার দায় স্বীকার করে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ও ঘটনার দিনের তথ্য সংগ্রহ করে আমারা ১৩ আগস্ট শাহজাদপুর উপজেলায় রুপপুর গ্রামের মৃত হাফিজের ছেলে আব্দুল কাদের ও একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মাহাবুব হাসান রিমনকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে। তারা দুজনসহ মোট চারজন ঘটনার দিন একসঙ্গে মাদক সেবন করার পর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মনিরের মুখে, বুকে ও মাথায় কিল ঘুষি মারে। এতে মনির নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য মাঝ-নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় তারা।’
পুলিশ সুপার বলেন, ’১৬ আগস্ট আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
Leave a Reply