জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন শ্রীপুর এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প।*
১. র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর এবং র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন শ্রীপুর এলাকা হতে আসামী মোঃ জালাল (৫২)কে গ্রেপ্তার করে।
২. গ্রেপ্তার:
ক। মোঃ জালাল (৫২)
৩. নিম্নরূপ পুনরুদ্ধার:
ক। মোবাইল ফোন – ০১ (সীমসহ)
৪. অন্যান্য তথ্য:
ভিকটিম জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন রামরামপুর গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। একই থানার পার্শ্ববর্তী পেরিরচর গ্রামের মৃত ময়দান আলীর ছেলে আসামি ১। মোঃ জালাল (৫২)। ভিকটিম গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২:৪০ ঘটিকার সময় ভিকটিম নিজ বাড়ি হইতে একই গ্রামের তার ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয় । তখন ভিকটিম কোন উপায় না পেয়ে রাস্তার দক্ষিণ পাশে জঙ্গলের ভিতরে যায়। এমন সময় আসামী মোঃ জালাল চুপিসারে ভিকটিমকে পিছন থেকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জনৈক মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল এর পরিত্যক্ত টিনের চৌচালা ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। ভিকটিমকে ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে আসামি মোঃ জালাল এর যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ভয় ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ডাক চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামি মোঃ জালাল ভিকটিমকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম এর বাবা জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া বাদি হয়ে অভিযোগ করিলে অফিসার ইনচার্জ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার মামলা নং-৬/১৮৪, তারিখ-০৭/০৯/২০২৩ ইং, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০) এর ৯ (১) ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। উক্ত ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে আসামি গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪ সিপিসি-১, জামালপুর এবং র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার, ঢাকা এর যৌথ আভিজাতিক দল অদ্য ১০/০৯/২০২৩ ইং তারিখ দুপুরবেলায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা দিন শ্রীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ জামালকে আটক করতে সক্ষম হয়। সূত্রোক্ত মামলা মোতাবেক ধৃত আসামিকে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
*৫. আইনানুগ ব্যবস্থা*: অভিযুক্তকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।
Leave a Reply