রাকিবুল ইসলাম সোহাগ –
আশুলিয়া নরসিংহপুর এলাকায় ড্রেনের পানি নামতে না পাড়ায় বন্ধের উপক্রম ঢাকা থাই লিঃ বেকারত্বের আশংকায় সহস্রাধিক শ্রমিক কর্মচারি।
ঢাকার অদুরে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকার নরসিংহপুরে অবস্থিত ঢাকা থাই লিঃ কারখানায় বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন সহস্রাধিক শ্রমিক কর্মচারি বৃন্দ পাশাপাশি উক্ত কারখানায় সাব কন্টাক্ট রেগুলার কাজ করে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক।ড্রেনের পানি নামতে না পাড়ায় বন্ধের উপক্রমে এখন ঢাকা থাই লিঃ।
সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ঢাকা থাই লিমিটেড কারখানা শুরুর প্রথম দিকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ লাইন নির্মান করে কারখানার পানি ও এলাকার বাসিন্দাদের সোয়ারেস পানি প্রবাহ চলমান রাখতে এই উদ্যোগ শুরুতেই নেওয়া হয়। হঠাৎ করে কিছুদিন পূর্বে আল মুসলিম গ্রুপ ও অনন্ত গার্মেন্টস এর জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠে। অনন্ত গার্মেন্টস তাদের সীমানা ঘেসার ড্রেন লাইনের ওপর বালি ফেলে রাস্তা নির্মান করে অন্যদিকে আল মুসলিম গ্রুপ দেয়াল নির্মাণ করে। দুটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের জমির মালিকানা দ্বন্দ্ব চরমে উঠায় বিপাকে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকা থাই লিমিটেড। যে ড্রেন ব্যবস্থাপনা থেকে পানি প্রবাহ চলমান ছিল সেখান থেকে পানি প্রবাহ কমে যাওয়াতে ড্রেনের পানি উপরে পড়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসায় উঠে যেত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতো বাড়িওয়ালা ও শ্রমিক বৃন্দ।ঢাকা থাই লিমিটেড সকলের ক্ষতির কথা চিন্তা করে বিকল্প পদ্ধতিতে স্যালো মেশিন ব্যবহার করে পানির প্রবাহ বাড়ানো চেষ্টা করে আসছিল। দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে ড্রেনের মুখ বন্ধের উপক্রম অবস্থায় রয়েছে। এমত অবস্থায় এলাকাবাসী ঢাকা-থাইয়ের পানি যেন ড্রেন থেকে নামতে না পারে এ বিষয়ে বিভিন্নভাবে মানববন্ধন সহ কর্মসূচি দিয়ে আসছিল যাহা ঢাকা থাই কর্তৃপক্ষ কোনদিন আশা করেনি।ঢাকা থাই কর্তৃপক্ষ ড্রেনের পানি প্রবাহ বাড়াতে সর্বদাই ড্রেন নিজস্ব অর্থায়নে পরিষ্কার করে আসছিল। হঠাৎ করে গত কয়েকদিন আগে এলাকাবাসী ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় ঢাকা থাই এর পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজস্ব হাউস ভরে গিয়ে কারখানা তলিয়ে যায়। এমত অবস্থায় ঢাকা থাই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় উক্ত কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করতে। কারখানাটি বন্ধ হওয়ায় চরম বিপদে ও দুর্বিসহ পড়েছে সহস্রাধিক শ্রমিক ও স্থানীয় বাড়িওয়ালা বৃন্দ।কারখানাটি বন্ধ হলে অনেক ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন অনেকে।
সহস্রাধিক শ্রমিক ও বাড়িওয়ালাদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসে এলাকার যুব সমাজ ও সমাজসেবক মুরুব্বীবৃন্দ। তারা বিকল্প পদ্ধতিতে অস্থায়ীভাবে লোহার পাইপ ব্যবহার করে কারখানা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে। এ সময়ও ভালো কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয় এলাকার যুব সমাজ ও সমাজসেবক মুরুব্বীবৃন্দ।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান আমাদের কারখানায় প্রায় একহাজার শ্রমিক কাজ করে কারখানার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় কারখানাটি মালিক কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়। ড্রেনের ব্যবস্থা সংস্কারে এলাকার যুব সমাজ ও স্থানীয় সমাজসেবকবৃন্দ এগিয়ে আসলেও এ বিষয়ে জরুরি ভাবে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন স্থায়ী ড্রেন নির্মাণে সরকারি সংস্থাগুলো যদি এগিয়ে আসে তাহলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করে ড্রেনেস ব্যবস্থা সচল করলে এলাকার মানুষেরও উপকার হবে। কারখানায় হাজারো শ্রমিক তাদের কর্মসংস্থানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ডের চাকা সচল রাখতে পারবে।।
Leave a Reply