রাকিবুল ইসলাম সোহাগ -বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছে; র্যাব ৪ এর অভিযানে অস্ত্র, গুলি উদ্ধার।*
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রধারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন চারাবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০২ টি বিদেশী পিস্তল, ০১টি ম্যাগাজিন, ০৬ রাউন্ড গুলি, ০১টি বিদেশী রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি, খালি খোসাসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যূ গ্রুপের মুলহোতা নিম্নবর্নিত ০২ জন’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ
ক। মোঃ আব্দুল জলিল (৩০), জেলা-সুনামগঞ্জ।
খ। মোঃ লাল মিয়া (৩৩), জেলা-ময়মনসিংহ।
একটি অপহরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার করে এবং এই অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা জলিল সহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল থেকে আসামী জলিলের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি অবৈধ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার অধিকতর তদন্তে, আসামীরা বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন পজিশনে রয়েছে এ ধরনের চারটি ছবি উদ্ধার করতে র্যাব-৪ সক্ষম হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ছবিতে দৃশ্যমান অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে র্যাব-৪ অভিযান শুরু করে এবং গুলি সহ আরো দুইটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল এবং রাইফেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত বিদেশী পিস্তল এবং রাইফেল গুলো জনৈক রাজুর নামে নিবন্ধিত।জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জলিল জানায় যে, রাজু তার নামে নিবন্ধিত অস্ত্রগুলো বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম মূলত অপহরণ, চাঁদাবাজি, হুমকি ও জমি দখলের জন্য জলিল ও তার সহযোগীদের ভাড়া দিয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন ভাবে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে রাজুর বৈধ অস্ত্রগুলো জলিল সহ অন্যান্য বিএনপির সন্ত্রাসীদের কাছে ভাড়া দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবহার হচ্ছিল। রাজু এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের লভ্যাংশ ভোগীয় বটে। উল্লেখ্য, রাজু এলাকায় চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যূ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে রাজু পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জলিল বিরোধী রাজনৈতিক দল এর একজন সক্রিয় কর্মী। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল করতে এবং তার অপরাধমূলক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সংঘটিত করতে জলিল সদা সক্রিয় রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজী, ভূমি দখল, মারামারী সহ একাধিক মামলা রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply