আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব এর,গঠনতন্ত্র -২০২৩
অনুচ্ছেদ ১:
—গঠনতন্ত্র—
১/ ক্লাবের/সংগঠনের নামকরণ:
এই ক্লাবের নাম -আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব (AMSSC) নামে অভিহিত হবে।
২/ সংগঠনের স্লোগান হবেঃ তৃনমূল সাংবাদিকদের সম্প্রীতি বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ আমরা। —
৩/সংগঠনের নৈতিকতা :
সাংবাদিক ও অসহায় অসহায় নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের কল্যাণে, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে যুগ যুগ ধরে রাখতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি ধারাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যহৃত রাখতে ,মহান মুক্তিযোদ্ধের স্ব পক্ষীয় শক্তি হয়ে বাংলাদেশের সংবিধান রক্ষায় আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব অঙ্গিকারবদ্ধ।
৪/সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকাল :
আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব ১১ নভেম্বর ২০২৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত করিতে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সমন্বয়ে তৃণমূল সাংবাদিকদের উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু করতে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫/ ক্লাবটির প্রধান কার্যালয় :(অস্থায়ী)
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকার মোসলেম প্লাজা অবস্থিত ।
ক্লাবের কার্য পরিচালনার জন্য আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে প্রার্থমিক পর্যায়ে থেকে সারা দেশে সংগঠন টির উদ্দেশ্য লক্ষকরণের উপর ভিত্তি করার। পরে সংগঠনের কার্যকলাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্য এলাকা সম্প্রসারন করা যাবে এবং কার্যক্রম চলিতেছে চলমান থাকিবে।
৬ /মূল ভূমিকাঃ
বাংলাদেশের দুস্থ সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী, পল্লী পর্যায়ে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন সংবাদ পত্রে কাজ করেন, তাদের বেতন নাই ভাতা নাই, তারা বিভিন্ন ভাবে সংবাদ সংগ্রহে সময় হামলা মামলার শিকার হন, তাদের বিষয় বিবেচনা করে , তথা বাংলাদেশের অতি দরিদ্র গ্রামীন জনগোষ্ঠী, যারা মানবেতর জীবন যাত্রায় অভ্যস্থ তাদের জীবন যাত্রাকে উন্নত করার মানসিক দায়িত্ব থেকে এই সংগঠনের উৎপত্তি। এটি একটি রাজনৈতিক চেতনাশক্তি রক্ষায়, নিজ রাষ্ট্রের ধর্মের প্রতি সদা জাগ্রত থেকে দেশের যে কোন সংকটময় মুহুত্বে সার্বিক পরিশ্রমিক, দেশের সংবিধান রক্ষাপন্থি, একটি সমাজিক সেবামূলক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। দেশের হত দরিদ্র, অবহেলিত ও দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে এই সংগঠন নিবেদিতন প্রাণ হিসেবে কাজ করিবে। সেই সাথে সংগঠনের সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রম, চাঁদা ও সচেতন সমাজ সেবীদের অনুদানের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত থাকিবে।
একি ধারায় দেশের পরিবেশ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে সংগঠনের কার্য এলাকায় ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী গ্রহন, পরিবেশগত অবস্থার কারণে সৃষ্ট রোগ” প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনাতা সৃষ্টি, বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী বাস্তবায়নের সুবিধার্থে উদ্ভিদ নার্সারী স্থাপন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দূষণ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করিবে । হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবার পরিকল্পনা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, সুষ্ঠ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, আর্সেনিক আক্রান্তদের চিকিৎসা ও এর দূষণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে গনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে । পাশাপাশি এইডস্ প্রতিরোধ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করিবে । শিশু শিক্ষা, কিশোর-কিশোরী শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, উপ-আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং কারিগরী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবক/ যুবতীদের আত্মনির্ভশীল হিসাবে গড়ে তোলা। আধুনিক চাষ ব্যবস্থা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করা, উন্নত বীজ, সার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কৃষি পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে সহায়তা করা, কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যার্য মূল্য পায় সে বাপারে তাদের সাহায্য করা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, চাষীদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা, কৃষি খামার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা। গণ গ্রন্থাগার স্থাপনঃ গ্রামের শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণ গ্রন্থাগার স্থাপন কর সহ প্রাকৃতি দুর্যোগ মোকাবেলা প্রাকৃতি দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীরে সাহায্যার্থে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং ক্ষতিগ্রস্থতের গৃহ পূণঃনির্মাণ, রাস্তা-ঘাট মেরামত ও পূর্ণবাসন কর্মসূচি গ্রহণ । সংস্কৃতি ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস স্ব সম্মানে পালন করিবে খেলাধুলার বিকাশ সাধন, বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃকি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহন করা, তথ্য প্রকাশনায় সরকারের সফলতা, সরকারের ব্যর্থতা, যেহেতু বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিরোধীয় দলের সফলতা ব্যার্থতা সকল কিছু তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরবে এবং তথা বাংলাদেশের মানুষের যে কোন সংস্কটময় মূহুত্বে, সাংবাদিক সমাজ শিক্ষিত সমাজ, সাংবাদিক জাতির বিবেক সেই চেতনায় বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক গণতান্ত্রীক অধিকার সব জাতির আছে, সেই মোতাবেক ক্লাবের সদস্য গন যে কোন রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণ করা সহ নির্বাচনে অংশগ্রহন করিতে পারিবেন। দেশের সকল প্রকার শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচী স্বল্প মূল্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং সংগঠনের নিজস্ব প্রকাশনা চাহিদা মেটানোর জন্য এই সংগঠনের মূল ভূমিকা প্রকাশনা শিল্প স্থাপন করবে। ক্লাবের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য প্রয়োজনে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে প্রকাশনা শিল্প পরিচালনা করা যাবে।
অনুচ্ছেদ -২
সংগঠনের সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা:
এই সংগঠনের কার্যক্রম এবং সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যারা নিম্ন লিখিত শর্তাবলী পালন করবেন তারাই সংগঠনের সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা অর্জন করবেন।
অনুচ্ছেদ-২ শর্তাবলীঃ
ক) সংগঠনের/ক্লাবের সদস্য হতে গেলে নিম্মতম ২১ বছর বয়স হতে হবে। সংগঠনের সদস্যতার জন্য সংগঠনের ক্লাবের সদস্য ফর্ম পূরণ করিতে হবে,চার কপি ল্যাব পিন্ট ছবি , জাতীয় পরিচয় পত্র ফটো কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট অথবা বায়োডাটা দিতে হবে।
খ) সংগঠন/ক্লাবের সদস্য হতে হলে কম পক্ষে ইন্টার পাশ হতে হবে,তবে অভিজ্ঞদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য।
গ) সংগঠনে সদস্য হতে হলে, একজন কর্মোঠ ও নিষ্ঠাবান সংবাদ কর্মী হতে হবে। আপনি কোন পত্রিকা বা কোন সরকারি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এ কাজ করেছেন তারা প্রমান পত্র অথবা প্রত্যায়ন পত্র বা আইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে।
ঘ) কোন রাষ্ট্রদ্রোহি সাজা প্রাপ্ত বা রাষ্ট্রদ্রোহি মামলার আসামীকে সদস্য করা হবে না । তবে হা সাংবাদিকতার কাজ পরিচালনা করিতে গিয়ে যদি কোন সদস্য মামলার আসামী থাকেন সে প্রমান পত্র দেখাতে পারলে তাকে সদস্য পদ দেয়া যেতে পারে।
ঙ) মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের কে এবং এতিম, প্রতিবন্ধীদের কে আজীবন সদস্য করা হবে । এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের সংবিধানের বিশ্বাসীদের দাতা/শুভাকাঙ্ক্ষী সদস্য পদ দেয়া হবে ।
চ) ক্লাবের উন্নয়ন কর্মকান্ডে আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব এর সকল সদস্যদের সহায়তা প্রদান করিতে হবে।
ছ) সদস্যগন নিয়মিত মাসিক চাঁদা প্রদান করিতে হবে এক টানা তিন মাস মাসিক চাঁদা না দিলে তার সদস্য পদ সাধারণ সভার মাধ্যমে বাতিল বলে গণ্য হবে।
জ) শৃঙ্খলা বজায় রেখে অধিবেশনে অংশ গ্রহন করিয়া স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে বিভিন্ন কাজে সহায়তা দান করিতে হবে। প্রতিটি সদস্যেে ক্লাবের গঠনতন্ত্রের উদ্দেশ্য লক্ষ গুলো বাস্তবায়ীত করিতে বর্তমান কমিটি ও উপ কমিটি গুলোকে সহায়তা করিবে।
ঝ) ক্লাবের প্রসার এবং প্রচারে সহায়তা প্রদান করিতে হবে পাশাপাশি নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা ও গঠনতন্ত্রের প্রতি আস্থা স্থাপন করিতে হইবে।
ঞ) আদালত কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত এবং বিচারাধীন কোন ব্যক্তি সদস্য পদের আবেদনের যোগ্য নন এবং মানসিক ভারসাম্যহীন বা কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তি সদস্যপদ লাভের যোগ্য হইবে না ।
চ)অনলাইন ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক, পেজ,ইউটিউব সহ ডিজিটালাইশন মেধা বিকাশের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য।
ছ)তৃনমুল পর্যায়ের যেকোনো মিডিয়ার সাংবাদিক ও যে কোন সাংবাদিক ক্লাবের সদস্যদের সাথে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রীতি বন্ধনে সহায়ক ভূমিকা পালনে সর্বদা কর্মোঠ ও পরিশ্রমি হতে হবে।
জ) প্রতিবছরে একবার নভেম্বর মাসে সদস্য ভর্তি ফরমের মাধ্যমে নতুন সদস্যদের ক্লাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নতুন সদস্যদের মিনিমাম ৬ মাস অবজারভেশনের মাধ্যমে সদস্য পদ লিখিত আকারে ক্লাবের ওয়েব পেজে সার্কুলার দেওয়া হইবে।
সদস্য পদ বাতিলের/স্থগিতের নিয়মাবলী
ক) যদি কোন সদস্য স্বেচ্ছায় সঠিক ও উপযুক্ত কারণ দর্শানো পূর্বক লিখিত আকারে পদত্যাগ করেন।
খ) যদি কোন সংবাদকর্মী মানসিক ভারসাম্য হারান।
গ) যদি ক্লাবের গঠনতন্ত্র ও স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-আচরণ ক্লাবের পরিপন্থী হয়।
ঘ)যদি কোন সদস্য সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে।
ঙ) মৃত্যু হলে বা মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে অথবা আদালত কর্তৃক দেশের অপরাধমূলক সাজা হলে।
চ) যদি দায়িত্ব ও কর্তব্য যথারীতি পালন না করেন বা ক্লাবের উন্নয়ন কাজে নিষ্ক্রিয় ও অন্য মনষ্ক হয়ে পরেন।
ছ) প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি রাখে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জ) যদি কোন সদস্য এদেশের সাংবিধান না মানিয়া চলে, যদি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ কে বিশ্বাস করে না। যে ধর্ম পালন করুক না কেনো যদি ধর্ম ভিরু হন ধর্মিয় অনুভূতিতে আঘাত জনিত কারন। দেশের সংসদীয় নিবার্চিত সরকারের বিরোধীতা করে।
ঝ)ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ না মানিয়া সরকার বিরোধী কোন সংবাদ পরিবেশন করে।
ঞ)সাংবাদিক পরিচয়ে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি ক্লাবের কোন সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আটক হন তাহলে আদালত কর্তৃক মামলার বিচার কার্য শেস না হওয়া পর্যন্ত তাহার সদস্য পদ বলবৎ থাকিবে,সেক্ষেত্রে ক্লাবের সদস্য কর্তৃক ঘটিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তই গ্রহন যোগ্য হবে।
ক্লাবের সদস্যদের পরিচয় পত্র প্রদানে নিয়মাবলি
তৃনমূল পর্যায়ের প্রকৃত সাংবাদিক /রিপোর্টার /ফটো সাংবাদিক যাহারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকেন ক্লাবের সদস্য হওয়ার পর সকল তথ্য যাছাই বাছাই পূর্বক সদস্যদের ক্লাবের পরিচয় পত্র, ফিতা,স্টিকার সহ অন্যানো ব্যাহিক জিনিসপত্র প্রদান করিবেন।
অনুচ্ছেদ -৩
সংগৃহীত অর্থ সংগঠনের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পত্তি কাহারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে না। প্রতি দুই মাস অন্তর সংগঠনের নিজস্ব সম্পত্তির তালিকা অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট পেশ করবেন। ক্ষতিগ্রস্থ সম্পত্তি কার্যনির্বাহী পরিষদের বিনা অনুমতিতে কাহারো নিকট হস্তান্তর করা যাবে না। এই জন্য অর্থবিষয়ক সম্পাদক সরাসরি সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নিকট দায়ী থাকবেন।
অনুচ্ছেদ -৪
(৮)দপ্তর সম্পাদক:
তিনি সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন। সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন। তিনি বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন। সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন। (সহ- দপ্তর সম্পাদক ) তিনি সংগঠনের প্রধান দপ্তর সম্পাদকের সকল কাজের সহ যোগীতা করবেন এবং প্রধান প্রচার সম্পাদক ও সহকারী প্রচার সম্পাদকের খোজ খবর সভাপতি / সাধারন সম্পাদক / সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রধান দপ্তর সম্পাদক কে জানাবেন।
(৯) অর্থ সম্পাদক:
তিনি সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ। সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ দাতা সদস্য হতে অনুদান গ্রহণ করা তার দায়িত্ব। তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন। বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন। তিনি সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণ তিনি ভাবে দায়ী থাকবেন। ( সহ অর্থ বিঃ সম্পাদক ) তিনি প্রধান অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতি সাধারন সম্পাদককের সাথে সম্মনয় করিয়া নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন।
(১০)সমাজ কল্যাণ সম্পাদক:
তিনি মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়াবেন, সমাজের নানা অসঙ্গতি সংগঠনের সভায় তুলে ধরবেন। সমাজের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা করবেন। সংগঠনের সামাজিকতা ধরে রাখবেন।
(সহ সমাজ কল্যাণ বিঃ সম্পাদক )তিনি প্রধান সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতি সাধারন সম্পাদককের সাথে সম্মনয় করিয়া নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন।
(১১) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক:
তিনি শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন। শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন। সংগঠনের শিশু ও বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম। এবং সংগঠনের সদস্যদের পন্ডুলিপি গুলো প্রার্থমিক স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিতে সকল ছাত্র ছাত্রিদের পড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবেন। (সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক) তিনি প্রধান শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতি সাধারন সম্পাদককের সাথে সম্মনয় করিয়া নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন এবং মাসে একবার করে সদস্যদের মেধা বিকাশের জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করবেন।
(১২)সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক:
তিনি সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিবেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সুস্থ বিকাশের কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন। সকল বই মেলাতে সংগঠনের পত্রিকা সদস্যদের লিখা পান্ডুলিপি গুলো প্রকাশনীরা ঠিক মতন পরিচালনা করছেন কিনা, সেটা মাসিক সভায় রিপোর্ট দিবেন। (সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক) তিনি প্রধান সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এর সাথে ও সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এর সাথে সম্মনয় করে নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন।
(১৩) আইন বিষয়ক সম্পাদক:
ক্লাবের গঠনতন্ত্র ও ডিজিটাল নিরাপত্তা ২০১৮ অনুযায়ী ক্লাবের সদস্যদের পরিচালনা করতে দৃষ্টি রাখবেন,সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। তিনি কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন। এবং সংগঠনের কোন আইনী সহযোগীতা চাইলে তাদের কে সংগঠনের সহযোগীতায় তাকে আইনি সেবা দান করবেন। আইন বিঃ সম্পাদক ও সহ আইন বিঃ সম্পাদক দুই মিলে একটি আইন বিঃ উপকমিটি সারা দেশের আইনি বিষয় নিয়ে যাহারা কাজ করেন তাদের নিয়ে আইন বিষয়ক উপকমিটি করিবেন সেই কমিটির মেয়াদ হবে নিবার্চিত কমিটি ঘোষনা হবার এক মাস পযন্ত।( সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক) তিনি প্রধান আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতি সাধারন সম্পাদক এর সাথে আলোচনা করে নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন।
(১৪)তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক:
তিনি সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে জানাবেন। বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত গবেষণা করে আর্টিকেল তৈরি করবেন। সংগঠনের কোন সদস্য কোন প্রকারে বিপদে পড়ল কি বা কোন প্রকার অসৎ কাজে জরিত হলে সেই তথ্য মাসিক সভায় উপস্থাপন করবেন। ( তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক) তিনি প্রধান তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সভাপতি ও কার্যকরী সহ সভাপতি ১, ২, সহ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ১, ২, এর নিদেশ মোতাবেক নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন।
(১৫) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক:
তিনি সংগঠনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, আরো বেশী প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন। সংগঠনের কার্যক্রমকে ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত প্রচার করা ও আপডেট করবেন, ওয়েবসাইটকে প্রতিনিয়ত ওয়াপে আপডেট করবেন। তিনি সংগঠনের সকল কার্যক্রমের ডিজিটাল কর্ম সংরক্ষন করবেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন। ( সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক) তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এর ও সহ সভাপতি ১০, ১১, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৫, ও সাংগঠনিক সম্পাদক ১, ২, এর সাথে যোগাযোগ রেখে নিজের কাজ পরিচালনা করিবেন।
অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা। মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সহায়তা করবেন। এবং কার্যনির্বাহী সদস্য গন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যাদের দায়ীত দিবেন কেন্দ্রীয় উপকমিটি গুলো গঠন করিতে, সেই নিদের্শনায় কাজ পরিচালনা করিবেন।
(১৮)অন্যানো সদস্যগণ:
সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের নির্বাহী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে। সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারা সংগঠনের উন্নয়নে সবদা সহযোগীতা করবে। তারা সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করবেন।
অনুচ্ছেদ-:৫
সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলী:
ক) শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ এককালীন দান,অনুদান বা সাহায্য তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।
খ) এছাড়াও ক্লাব কর্তৃক পান্ডুলিপি বের করে অর্থ আয় করে ক্লাবে যোগ হবে।
গ) সরকারি অনুদান বা অন্য যেকোনো শুভ উপায়ে অর্জিত অর্থ সংগঠনের তহবিলে যোগ হবে।
ঘ) যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা গ্রহন করা যাবে না। তহবিলের সুবিধার্থে সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে যেকোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে একটি হিসেব খোলা হবে তবে যেকোন দুই জনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
ঙ) কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি ক্লাবে আর্থিক অনুদান সহ আসবাবপত্র দিয়ে সহায়তা করে তাহা ক্লাবের নামেই জমা হবে।সেক্ষেত্রে সকল সদস্যদের ক্লাবের প্রতি মহানুভবতা দেখাতে হবে।।
অনুচ্ছেদ-১২
আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব সর্বদা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সমাজসেবক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাবে।
সেক্ষেত্রে উক্ত ক্লাবের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য হিসেবে ক্লাব যে ইউনিয়নে অবস্থিত সেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্লাবের সম্মানিত উপদেষ্টা হিসেবে সর্বাধিক প্রাধন্য পাইবে। এবং কি যেকোন রাজনৈতিক দলের গ্রহন যোগ্য ব্যক্তি ও সমাজ সেবক উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য হইতে পারিবে। উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্যদের তালিকা নিবন্ধনের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরে দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার হইতে পারিবে।
অনুচ্ছেদ -১৩
সংগঠনের বিলুপ্তি সাধনঃ
যদি কোন কারণ বশতঃ সংগঠনের বিলুপ্তি ঘটে এবং সংগঠনের কার্যক্রম আর পরিচালনা করা সম্ভব না হয় তবে সংগঠনের যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও মালামাল যদি ক্লাবটি নিবন্ধিত হয় তাহলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ/কোন ট্রাষ্টি বোর্ড বা নিবন্ধিত না হলে এতিমখানার অনুকূলে চলে যাবে,এবিষয়ে কারো কোন ওজর আপত্তি থাকবেনা।
। এই গঠনতন্ত্র ১ম অধিবেশনে পেশ করে সাধারন সভা ও আত্মপ্রকাশের দিন সকল সদস্যদের উপস্থিতি তে হ্যা ভোটে গঠনতন্ত্রের চুড়ান্ত খসড়া আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠিত হইলো।
অনুচ্ছেদ -১৩
ওয়েবসাইট ও সোসাল মিডিয়ায় আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব এর লোগো/ পতাকার প্রতিছবি প্রকাশ করা হইলো :
গঠনতন্ত্রে দৃশ্যমান রহিয়াছে।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হক ইমু,
সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিবুল ইসলাম সোহাগ,
আশুলিয়া মডেল সাংবাদিক স্বমন্বয় ক্লাব,
ঠিকানা -মোসলেম প্লাজা জামগড়া আশুলিয়া ঢাকা
মোবাইল -০১৭৯৫২০২০৮৩,০১৪০৫৭৯৮৬০৫
Leave a Reply