রাকিবুল ইসলাম সোহাগ(নিজস্ব প্রতিনিধি) -ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকার চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন পূর্বক মূলহোতা রাব্বি (৩০) কে যশোর মনিরামপুর থানা এলাকায় হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-৪ হত্যাসহ বিভিন্ন নৃশংস অপরাধের রহস্য উদঘাটন এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের সনাক্ত এবং গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাত ২২.৩০০ ঘটিকার সময় র্যাব-৪ এবং র্যাব-৬ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোরের মনিরামপুর থানাধীন রহিতা শেখপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন পূর্বক হত্যাকান্ডের মূলহোতা শেখ রাব্বী হোসেন (৩০), জেলা-সাতক্ষীরা কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গত ইং ১১/০১/২০২৪ তারিখ বিকাল ১৫.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকায় জনৈক ইয়াকুব আলীর ভাড়াটিয়া সুমাইয়া (২০) নামে এক তরুনীর মৃত দেহ উদ্বার করা হয়। পরবর্তীতে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে র্যাব ৪, সিপিসি ২ এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং র্যাবের অত্যাধুনিক OIVS যন্ত্রের মাধ্যমে মৃতদেহ সনাক্ত করে। জানা যায় ভিক্টিমের নাম সুমাইয়া(২০), পিতাঃ মনির উদ্দিন, সাংঃ মালথ পোস্টঃ আগড়ঘাটা, থানাঃ পাইকগাছা, জেলাঃ খুলনা।
বিষয়টি নিহতের পরিবারকে অবহিত করা হলে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গত ১২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে আশুলিয়া থানায় ভিক্টিমের স্বামী শেখ রাব্বি হোসেন কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যসৃষ্টি করে।
এর প্রেক্ষিতে, র্যাব-৪, সিপিসি-২ উক্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়াতদন্তের একপর্যায়ে র্যাব ৪ সিপিসি ২ নিশ্চিত হয় যে, ঘটনার মূল কুশীলব ভিক্টিম সুমাইয়ার স্বামী শেখ রাব্বি হোসেন।
এর ধারাবাহিকতায় আসামীকে গ্রেফতার করতে, র্যাব-৪ সিপিসি-২ ও র্যাব-৬,সিপিএসসির যৌথ অভিযানে ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের মূলহোতা শেখ রাব্বি হোসেন(৩০)কে যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন রহিত শেখপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী শেখ রাব্বী হোসেন (৩০) বিগত তিন বছর পূর্বে গামেন্টস এ কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ভিকটিম মৃত সুমাইয়া (২১) এর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হলে তারা পরবর্তীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের প্রায় দুই বছর পর তাদের মাঝে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাক-বিতন্ডা এবং কলহ লেগে থাকত। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ দুপুর বেলায় আসামী শেখ রাব্বীর সাথে ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার (২১) এর মাঝে পুনরায় পারিবারিক বিষয়ে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে আসামী শেখ রাব্বীর ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম সুমাইয়ার গলা টিপে শ্বাস রোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে ধৃত আসামী ঘটনাস্থল উক্ত বাসায় তালা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এর পর থেকে আত্মগোপনে থেকে আসামী স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার’কে হত্যার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply