নিজস্ব প্রতিনিধি-রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ এর বিভিন্ন গ্রæপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী গ্যাং ‘পাটালি গ্রæপ’ এর অন্যতম মূলহোতা মোঃ সুজন মিয়া @ ফর্মা সজিব এবং ‘লেভেল হাই’ এর অন্যতম মূলহোতা মোঃ শরিফ @ মোহন ও ‘চাঁন গ্রæপ’, ‘মাউরা ইমরান গ্রæপ’সহ বিভিন্ন গ্রæপের ৩৬ জন’কে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২; উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রæপের সদস্য কর্তৃক ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এ সকল সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী ও মামলা রুজু হয়। বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’ সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রæপ অপর গ্রæপের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব। ফলশ্রæতিতে র্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৬/০২/২০২৪ ইং তারিখ রাতে র্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী গ্যাং ‘পাটালি গ্রæপ’ এর অন্যতম মূলহোতা (১) মোঃ সুজন মিয়া @ ফর্মা সজিব(২৪), পিতা-মোঃ শফিক মিয়া, থানা-মোহাম্মদপুর, ঢাকা, (২) মোঃ রানা শিকদার(২৪), পিতা-মোঃ গিয়াস উদ্দিন শিকদার, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা, (৩) মোঃ জুয়েল মিয়া(২৪), পিতা-মোঃ আকবর মিয়া, থানা-আমবৌলা, জেলা-বরিশাল, (৪) মোঃ রাকিব @ মুরগী রাকিব(২২), থানা-মেহেন্দীগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, (৫) মোঃ সাগর(২৬), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, থানা-দুলারহাট, জেলা-ভোলা, র্যাব-২ অপর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপর একটি সন্ত্রাসী গ্যাং ‘চাঁন গ্রæপ’ ও ‘মাহি গ্রæপ’ এর সদস্যসহ (৬) মোঃ মারুফ (২৩), পিতাঃ মোঃ কামাল, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা- ঢাকা, (৭) মোঃ আল আমিন(২৪), পিতা- মৃত নজির মিয়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা, (৮) মোঃ সাকিব @ প্রকাশ রিয়াম (২৩), পিতা- মৃত নান্নু ব্যাপারী, থানা-মুলাদী, জেলা- বরিশাল, (৯) মোঃ জুয়েল (২৪), পিতা- মোঃ জসিম, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা, (১০) বিপ্লব রাজবংশী, পিতা- মৃত কিশোরী রাজবংশী, থানা- নবাবগঞ্জ, জেলা- ঢাকা, (১১) মোঃ মেঘদাত@ মেঘু(২২), পিতা- মোঃ হাজী মিয়া, থানা- ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, (১২) মোঃ সকাল আহমেদ(২৬), পিতা- মোঃ ফরহাদ হোসেন, থানা- বিশ্বনাথ, জেলা- সিলেট, (১৩) মোঃ শরীফুল ইসলাম(২৩), পিতা- মৃত আমজাদ ব্যাপারী, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা- ঢাকা, (১৪) মোঃ হৃদয় ইসলাম(২০), পিতা- মো আবুল কাশেম, থানা- লালমোহন, জেলা- ভোলা, (১৫) মোঃ ইয়াসিন(২০), পিতা- জাহাঙ্গীর, থানা- বানারীপাড়া, জেলা- বরিশাল, (১৬) মোঃ রাব্বি মিয়া(২০), পিতা- আলি আজগর, থানা- দূর্গাপুর, জেলা- নেত্রকোণা এবং র্যাব-২ অপর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপর একটি সন্ত্রাসী গ্যাং ‘লেভেল হাই’ গ্রæপের মূলহোতা (১৭) মোঃ শরিফ @ মোহন (২১), পিতা-জামাল @ প্রতিবন্ধি জামাল, থানা-বোরহান উদ্দিন, জেলা-ভোলা, (১৮) মোঃ দুলাল@ ডিস দুলাল (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুস সালাম, থানা-রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুর, (১৯) মোঃ সোহাগ (৩১), পিতা-মজিবুল হক, থানা-দুলারহাট, জেলা-ভোলা, (২০) মোঃ তারেক (২২), পিতা-মোঃ সেলিম, থানা-বোরহান উদ্দিন, জেলা-ভোলা, (২১) মোঃ হাসান (২০), পিতা-মোঃ আলী, থানা-ঈশ^রদী, জেলা-পাবনা, (২২) মোঃ হৃদয় (২৪), পিতা-মোঃ আলমগীর, থানা-বোরহান উদ্দিন, জেলা-ভোলা, (২৩) মোঃ রাকিব(১৯), পিতা- ইব্রাহিম খলিল, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা- ঢাকা, (২৪) মোঃ নিশান(১৯), পিতা- মৃত লাল মিয়া, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা- ঢাকা, (২৫) মোঃ রাসেল(১৯), পিতা- রফিকুল ইসলাম, থানা- ভাংগুরা, জেলা- পাবনা, (২৬) মোঃ রাকিব(২৬), পিতা – আবু তাহের শিকদার, থানা- বোরহান উদ্দিন, জেলা- ভোলা, (২৭) মোঃ শাহাদাত হোসেন(২১), পিতা- আব্দুল মালেক, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাদপুর, (২৮) মোঃ সোগাগ ফরাজি(২১), পিতা- মোঃ ইসমাইল ফরাজি, থানা – চরফ্যাশন, জেলা- ভোলা, (২৯) মোঃ সুজন ইসলাম (২৪), পিতা- নূর ইসলাম, থানা- চরফ্যাশন, জেলা- ভোলা, (৩০) মোঃ রবিউল (২০), পিতা-বিল্লাল, থানা-আমতলী, জেলা- বরগুনা, (৩১) মোঃ আজগর (২০) পিতা- মোঃ নূরুল ইসলাম, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার (৩২) মোঃ নাহিদ (২০), পিতা- জাফর, থানা-লালমোহন, জেলা- ভোলা, (৩৩) মোঃ সুজন ইসলাম (২৪), পিতা-নূর ইসলাম, থানা- চরফ্যাশন, জেলা- ভোলা, (৩৪) মোঃ ইমরান@ মাউরা ইমরান(২৪), পিতা- মোঃ আজাদ, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা, (৩৫) মোঃ সোহান (২৫), পিতা- মোঃ দবির, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, (৩৬) মোঃ ফরহাদ (২৫), পিতা- মোঃ তৌফিক, থানা- গলাচিপা,জেলা- পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র¿। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পূর্বের বিভিন্ন অপরাধ এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সর্ম্পকে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ০৫ জন ‘পাটালি গ্রæপ’, ০৬ জন ‘লেভেল হাই’, ০৬ জন ‘চাঁন গ্রæপ’, ০৫ জন ‘লও ঠ্যালা গ্রæপ’, এবং ০৭ জন ‘ মাউরা ইমরান গ্রæপ’ এর সদস্য এবং বাকি ০৭ জন অন্য গ্রæপের সদস্য। এদের গ্রæপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে। পাটালি গ্রæপটি সন্ত্রাসী মোঃ সুজন মিয়া @ ফর্মা সজিব এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দলের কারনে তারা ২/৩টি গ্রæপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রæপটি গেৃফতারকৃত মোঃ শরিফ @ মোহন এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এই গ্রæপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রæত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পাশর্^বর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ বর্ণিত এলাকাসমূহে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন গাড়ীর হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশেপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সুজন মিয়া @ ফর্মা সজিব ‘পাটালি গ্রæপ’ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রæপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত মোঃ রানা শিকদার, মোঃ জুয়েল মিয়া ও মোঃ সাগর গ্রেফতারকৃত ফর্মা সজিবের সহযোগী। তারা গ্রেফতারকৃত ‘পাটালি গ্রæপ’ এর ফর্মা সজিব এর নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির অধিক মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ শরিফ @ মোহন (২১) ‘লেভেল হাই গ্রæপ’ এর মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত @টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। পূর্বে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করত। সে হায়াত @টাকলা হায়াত এর অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল। সন্ত্রাসী হায়াত @টাকলা হায়াত অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছে এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করছে। গ্রেফতারকৃত দুলাল, মোঃ সোহাগ ও মোঃ তারেক তারা লেভেল হাই গ্রæপের সদস্য। তারা গ্রেফতারকৃত মোঃ শরিফ @ মোহন এর নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ০৮টির অধিক মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সাকিব @ প্রকাশ রিয়াম ‘চাঁন গ্রæপের’ অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকুরী করত। ২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেটে চাকুরীর সময়ে ‘চাঁন গ্রæপ’ নামে একটি কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ‘চাঁন গ্রæপের’ অন্যতম সহযোগী বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ০৩ টির অধিক মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ ইমরান@ মাউরা ইমরান ‘মাউরা ইমরান গ্রæপের’ সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রæপ তৈরি করে। পূর্বে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। ২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং ‘মাউরা ইমরান গ্রæপ’ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ০৪ টির অধিক মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। ছবি-উদ্ধার কৃত বিভিন্ন প্রকারের দেশীয় অস্ত্র
মোঃ রাকিব @ মুরগী রাকিব এর জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকুরী ও ডিসের লাইনে চাকুরী করত। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকুরীর সময় লও ঠ্যালা গ্রæপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান হতে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করত বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ০২টির অধিক মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র্যাব এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply