মহেশখালীতে বাড়ছে অপটিকেল ফাইবার ক্যাবল চুরি, বিপর্যস্ত পরিষেবা
এম এস হান্নান স্টাফ রিপোর্টার
মহেশখালীতে প্রায় সময় চুরি হচ্ছে অরবিট ইন্টারনেট এ ব্রান্ড অব রেচ অনলাইন লিমিটেড কোম্পানির ‘অপটিকেল ফাইবার ক্যাবল। এতে বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান অরবিট কোম্পানির ইন্টারনেট পরিষেবা। যে কারণে দিনদিনই ক্ষতির বহর বাড়ছে অরবিটের দফতরের। এঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের দিয়েছে অরবিট কোম্পানির লোকাল অফিসের পরিচালক চিংরিমং।
অভিযোগকারী চিংরিমং বলেন, গত বছরের মে থেকে ডিসেম্বর২৪ পর্যন্ত আনুমানিক ২০ কিলোমিটার ক্যাবল
কেটে নিয়ে গেছে চোরের দল। তাঁর কথায়, ‘‘কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে দুষ্কৃতকারীরা ক্যাবল চুরি করছে, সেটাই আশ্চর্যের।’’আমি অরবিট ইন্টারনেট এ ব্রান্ড অব রেচ অনলাইন লিঃ অপটিকেল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে বাড়িঘর অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছি। অজ্ঞাতনামা চোরেরা প্রায় সময়ে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের রশিদ মিয়ার ব্রীজ, মহেশখালী পৌরসভাধীন রাখাইন পাড়ার পিছন হইতে রশিদ মিয়ার ব্রীজ পর্যন্ত, ঠাকুরতলা কোষ্টগার্ড অফিসের সামনে হইতে আদিনাথ মন্দির রোড, তেলিপাড়া, ভূমি অফিসের সামনে, ডাক বাংলো রোড, মাছ বাজার রোড, গোরকঘাটা লামার বাজার, ঠাকুরতলা আদিনাথ মন্দির রোড হইতে আদিনাথ জলদাশ পাড়া পর্যন্ত, তেলিপাড়া সহ বিভিন্ন স্থান হইতে আমার ওয়াইফাই সংযোগের মূল্যবান ক্যাবল কাটিয়া চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোম্পানির লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি মানুষের সেবা ব্যাহত করছে।
অরবিট কোম্পানির লোকাল অফিসের পরিচালক চিংরিমং তার কোম্পানির ক্যাবল চুরির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আরো বলেন, একটি চক্র একতরফা ব্যবসা করার জন্য দীর্ঘ দিন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এদিকে মহেশখালীতে অরবিট গ্রাহক এরা
ওয়াইফাই লাইন ও ডিসলইনের মাধ্যমে টেলিভিশন দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ডিস লাইনের ক্যাবল চুরি বন্ধ না হলে গ্রাহকরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা থেকে বঞ্চিত হবে।
মহেশখালী পৌরসভার আবদুল মালেক ইমন বলেন, বাড়ির ওয়াইফাই লাইন খারাপ খারাপ থাকলে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।’’ একই বক্তব্য, গোরবঘাটা লামার বাজার এলাকার বাসিন্দা রবিশঙ্কর ভট্টাচার্যেরও।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ওখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply