ব্যবসায়িক কথা বলে কৌশলে অপহরণ, আটক চক্রের পাঁচ সদস্য
রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
অপহরণকারীদের নাম; মোঃ আলম হোসেন (৪০), মোঃ মনির আহম্মেদ (৩৫), মোঃ কবির (৩৪), মোঃ মফিজুর হোসেন জনি মোল্লা (৪৪) ও মোছাঃ সুফিয়া (৩৫)।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৯ টায় মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।
মিরপুর মডেল থানা সূত্র জানায়, জনৈক মোঃ রাসেল খান গাজীপুরের একজন ফেব্রিক্স ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ফেব্রিক্স ক্রয় করে বিক্রয় করতো। এই ফেব্রিক্স ব্যবসার সুবাদে আয়না ওরফে কাজলীর সাথে তার পরিচয় হয়। চলতি জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ ফেব্রিক্স ক্রয় করার জন্য মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় রাসেল খানকে আসতে বলে কাজলী। রাসেল সরল বিশ্বাসে পরদিন শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর প্রায় ২ টায় মিরপুরের মেট্রোরেল স্টেশনের নিকট বাটা শো-রুমের পাশে আসলে ফেব্রিক্স দেখানোর কথা বলে তাকে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের সুফিয়ার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে কাজলী। রাসেল ওই বাসায় পৌঁছলে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী জোরপূর্বক তাকে একটি রুমে আটকে রেখে তার নিকট থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা, তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। অতঃপর তার মোবাইল ফোনে থাকা বিকাশ ও নগদের পিন কোড নিয়ে আরও ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর অপহরণকারীরা রাসেলের ফোন থেকে রাসেলের মা,বাবা, স্ত্রী ও বন্ধু এলাহীর নিকট ফোন করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
থানা সূত্র আরও জানায়, ভিকটিম রাসেলের বন্ধু এলাহী অপহরণের বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুততম সময়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপর হয়।
পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ওইদিন (১০ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৯ টায় মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের সুফিয়ার বাসায় অভিযান পরিচালনা ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করে। এসময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি চাকু, নগদ ১৪ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম রাসেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক পাঁচজন অপহরণকারীসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার মামলায় আটক অপহরণকারীদের আদালতে পাঠানো করা হয়েছে। এছাড়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় থানা সূত্র।
Leave a Reply