ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার।
স্ত্রীর পরকীয়া । পরকীয়ার বলি হলেন অটোচালক মোঃ জুয়েল মিয়া
মামলার ডিসিস্ট মোঃ জুয়েল মিয়া (২৫), পিতা-মৃত আহম্মদ আলী, মাতা-জোহরা খাতুন, সাং-আঠারবাড়ী (হাইস্কুলের পিছনে), থানা-ইশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ, এ/পি- হাসনাবাদ, থানা- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা বর্তমান ঠিকানায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করিয়া ভাড়ায় সিএনজি চালাইয়া জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসিতেছিল। গত কয়েক মাস পূর্বে আসামী মোঃ উজ্জলের স্ত্রী মনি (২২) এর সহিত উক্ত জুয়েল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের কারনে আসামী মোঃ উজ্জলের স্ত্রী মনি (২২) উজ্জলকে তালাক প্রদান করিয়া গত ২৮/১২/২০২৪ তারিখ জুয়েল মিয়া কে বিবাহ করিয়া জুয়েল এর বর্তমান ঠিকানার ভাড়া বাসায় চলিয়া আসে এবং ঘর সংসার করিতে থাকে। আসামী মোঃ উজ্জল বিষয়টি জানতে পারিয়া জুয়েলের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাহাকে মারার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ৩১/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৫.০৫ ঘটিকার সময় জুয়েল তাহার ভাড়ায়কৃত সিএনজি নিয়া দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন তেঘরিয়া ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন এর দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক মামুন এর নার্সারির সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পৌছাইলে আসামী মোঃ উজ্জল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জুয়েলের সিএনজির গতি রোধ করে। জুয়েল সিএনজি থামানোর সাথে সাথেই আসামী মোঃ উজ্জল তাহার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে জুয়েলের বুক, পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী পার মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করিয়া পালাইয়া যায়। তখন রাস্তা দিয়া অন্যান্য পথচারীরা জুয়েলকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়িয়া আর্তনাদ করিতে দেখিয়া রাস্তা হইতে উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড) হাসপাতাল, ঢাকায় নিয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েলকে মৃত ঘোষনা করে। উক্ত ঘটনায় বাদীর মা জোহরা খাতুন থানায় এজাহার দায়ের করিলে একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর তদন্তকারী অফিসার হিসাবে এসআই/ মোঃ মনোয়ার হোসেন কে নিয়োগ করতঃ উক্ত মামলা সম্পর্কে ঢাকা জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান মহোদয় হয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। উক্ত চৌকস টিম অতিঃ পুলিশ সুপার, কেরানীগঞ্জ সার্কেল মহোদয়ের এর তথ্য-প্রযুক্তিগত সহযোগীতায় এবং অফিসার ইনচার্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সাহেবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া অত্র হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ উজ্জল এর অবস্থান নির্ণয় করতঃ অভিযান পরিচালনা করিয়া চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানাধীন সাহেবগঞ্জ বাজার হইতে আত্নগোপনে থাকা পলাতক এজাহারনামীয় আসামী জুয়েলকে ১৭/০১/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ গ্রেফতার করেন। আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে ।
গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় আসামী মোঃ উজ্জলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার স্ত্রী মনি এর সাথে ডিসিস্ট জুয়েল পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উক্ত সম্পর্কের কারনে তার স্ত্রীকে সংসার হইতে ভাগায় নিয়া বিবাহ করায় সে ক্ষোভের বর্শবর্তী হইয়া জুয়েলকে চাকু দিয়া এলোপাথারী পার মারিয়া ঘটনাস্থলে সিএনজি,তাহার ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি ছুড়ে মারিয়া পলায়ন করে।
অত্র হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আসামী ১। মোঃ উজ্জ্বল (২৫), পিতা-মোঃ আলীম, মাতা-জোহরা খাতুন, সাং-মীরেরবাগ, থানা- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা ।
Leave a Reply