ছাত্রদল নেতার আত্মীয়ের প্রাইভেটকারে ধাক্কা লাগায়
১০ টি বাস আটক করে জাবি ছাত্রদল নেতা মধ্যস্ততায় গাড়িগুলোর মুক্তি।
জাবি প্রতিনিধি:জিহাদুল ইসলম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক নেতার আত্মীয়র প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১০ টি বাস আটক করে শাখা ছাত্রদল নেতা সেলিম রেজা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন তার অনুসারীরা। পরে রাত বারোটার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন তারা।
অভিযুক্ত সেলিম রেজা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী। সেলিম রেজার সঙ্গে আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার বলীভদ্র এলাকায় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজার আত্মীয়র প্রাইভেট কারে ধাক্কা দিয়েছে এমন অভিযোগে বাস আটকাতে শুরু করেন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে রাত বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার মধ্যেস্থতায় বাসগুলো ছেড়ে দেন তারা।
এ বিষয়ে সেলিম রেজা বলেন, তার আত্মীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মুরাদের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেন রাজধানী পরিবহনের একটি বাস। তখন প্রাইভেট কারের লুকিং গ্লাসসহ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর কয়েকজন রাজধানী পরিবহনের দুটি বাস বিশমাইল গেইটে সড়কের একপাশে চাপিয়ে রাখেন। তখন সেলিম রেজা বাসের লাইনম্যানকে কল দিয়ে জানান প্রাইভেট কারের ক্ষতিপূরণ দিতে। তখন ওই লাইনম্যান ঘটনাস্থলে যেতে পারবেন না এবং যা পারে করে নিতে বলেন সেলিমকে।
সেলিমের ভাষ্য, লাইনম্যানের এই কথা তার মাইন্ডে লাগে এবং কয়েকটি বাস সড়কের একপাশে চাপিয়ে রাখেন। তবে কোনো বাস আটক করেনি তারা কেবল রাস্তার একপাশে চাপিয়ে রাখেন। পরে বাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে তারা বাসগুলো ছেড়ে দেন।
আটককৃত একটি বাসের চালক জাহিদ হাসান বলেন, আমরা কিছু বুঝে না ওঠার আগেই চার-পাঁচজন এসে গাড়ি থামিয়ে বাসের চাবি নিয়ে চলে যায়। এসময় গাড়িগুলো রাস্তায় আড়াআড়ি করে রাখতে বলে। শুনেছি যে গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে, তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীকের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
Leave a Reply