"র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর অভিযানে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার একমাত্র আসামী সবুজ খান (৩৫) কে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা হতে গ্রেফতার”
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ধর্ষণকারী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল ইং-১৭/১২/২০২৫ তারিখ অনুমান ২১.১০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন দোসাইদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী সবুজ খান (৩৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায়, বাদীনি এবং এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী সবুজ খান (৩৫) এর মধ্যে ফেসবুকে পরিচয় এবং পরবর্তীতে মোবাইলে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের সুবাদে উক্ত আসামী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীনির সাথে হোয়াটসএ্যাপ, ইমো ও মেসেঞ্জারে অডিও এবং ভিডিও কলে আপত্তিকর অবস্থায় কথা বলতে থাকে। ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে উক্ত আসামী কৌশলে বাদীনির অজান্তে বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করে এবং উক্ত ভিডিও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছেড়ে দিবে মর্মে বাদীনিকে হুমকি প্রদান করতঃ ৫,০০,০০০/- টাকা দাবী করে। তখন বাদীনি অসহায় হয়ে উক্ত আসামীর নম্বরে ৫০,০০০/- টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে আসামী পুনরায় বাদীনির আপত্তিকর ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে হুমকি দিয়ে বাদীনির নিকট হতে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধাপে ১,২০,০০০/- টাকা আদায় করে এবং অবশিষ্ট ৩,৩০,০০০/- টাকা দাবী করে হুমকি দিতে থাকে। টাকা না দেওয়ায় আসামী বাদীনির আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও বিভিন্ন চ্যাটিং গ্রুপ ও অনলাইনে ছেড়ে দেয় এবং কাউকে কিছু বললে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দেয়। এতে বাদীনি মানসিকভাবে বিপর্যন্ত ও নিরুপায় হয়ে পড়ে। অতঃপর বাদীনি উক্তরূপ এজাহার দায়ের করলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজুর পর হতে উক্ত আসামী পলাতক ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর আভিযানিক দল উক্ত মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল ইং-১৭/১২/২০২৫ তারিখ অনুমান ২১.১০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন দোসাইদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র পলাতক আসামী সবুজ খান (৩৫), পিতা-লুৎফুর রহমান, মাতা-ছমিরন নেছা, স্থায়ী সাং-বানিয়াপুর, চিলাহাটী, পল্লী পঞ্চগড়, থানা-দেবীগঞ্জ, জেলা-রংপুর, এ/পি-বাড়ী নং-১০০/০৯, আনন্দপুর, গেন্ডা পৌরসভা, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সূত্রোক্ত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিঃদ্রঃ-নিজস্ব প্রতিবেদকের তথ্যের ওপর নিজস্ব নিউজ ওয়েবসাইটনিজস্ব নিউজ ওয়েবসাইট পোর্টাল থেকে সর্বাধিক প্রাচারিত প্রকাশিত
এই সাইটের নিউজ অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন