সাভারের আশুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে জখম করেছে একাধিক মামলার আসামি সোহাগ মুন্সি(৩০) ও তার সহযোগীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১ টার দিকে কুপিয়ে জখমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির। এর আগে গতকাল রাতে আশুলিয়ার গাজিরচটের চারালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন জামগড়া এলাকার আলম ভূইয়ার ছেলে মো: আজহার ভূইয়া(২৮) ও ইশতিয়াক ভূইয়া (২৫)। সোলাইমান ইসলামের ছেলে শোহান (২৮), ডা.আবুল হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন রিজভি (২৯) ও নজরুল ইসলামের ছেলে তুহিন মিয়া (২৭) তারা সবাই আশুলিয়ার গাজিরচটের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত সোহাগ মুন্সি আশুলিয়ার গাজিরচটের বসুন্ধরার চারালপাড়া এলাকা হরমুজ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রেছে। তবে তার সহযোগীদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, সড়কে যানযটের সৃষ্টি হওয়ার কারণে আহত ইশতিয়াক ভূইয়াসহ দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকার আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই এলাকার চারালপাড়ায় পৌছলে ঈদে ঘরমুখো দুই যাত্রীকে রিকশা থেকে টেনে হেঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে বসুন্ধরা মাঠের দিকে নিয়ে যেতে দেখে সোহাগকে বাধা দেয় তারা। পরে সোহাগ মুন্সী তাদের মারধর শুরু করেন। এসময় ইসতিয়াক তার পরিবারকে খবর দিলে সেখানে তার বড় ভাই আজহার উপস্থিত হন। আজহারকে দেখা মাত্র দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন অভিযুক্ত ও তার সহযোগীরা। এসময় বাকি আহতরা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সোহেল স্কয়ার হাসপাতালে নিলে ইশতিয়াক ও আজহারের অবস্থার অবনতি হয়। তাদের সাভারের এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, এঘটনায় রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যাই। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply