বাগেরহাট থেকে অপহৃত নাবালিকা কিশোরীকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারসহ ০১ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
অপহৃত ভিকটিম ১৭ বছর বয়সের কিশোরী এবং বাগেরহাট একটি কলেজে অধ্যায়নরত। ভিকটিম কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রসুল শেখ নামক এক যুবক তাকে প্রায় সময়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। ভিকটিম বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানালে ভিকটিমের বাবা বিষয়টি রসুল এর বাবা-মা ও তার নিকটাত্মীয়দের অবগত করেন। এতে রসুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম এর বাবাকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
পরবর্তীতে গত ০৪ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাগেরহাট দশানী মোড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হলে পথিমধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী রসুল শেখ এবং তার ২/৩ জন সহযোগী ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে একটি সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম সময়মত বাসায় না ফেরায় ভিকটিমের মা বাবা আত্মীয় স্বজনদের বাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে যে, তার নাবালিকা মেয়েকে রসুল শেখ নামের এক যুবক তার অপরাপর ২/৩ জন সহযোগীর সহায়তায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একটি সিএনজি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
কয়েকদিন খোঁজাখুঁজি করে মেয়ে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অপহৃত ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত ১০ জুলাই ২০২৩ইং তারিখ বাগেরহাট মডেল থানায় রসুল শেখকে মূল আসামী করে ০১ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন, যার নং- ১৪ তারিখ ১০ জুলাই ২০২৩ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশোধিত/০৩) এবং অধিকতর সংশোধিত/২০২০ এর ৭/৩০ এ রুজু হয়।
ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে দ্রত উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জুলাই ২০২৩ইং তারিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানাধীন ১৫ নং ঘাট এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণকারী আসামী মোঃ রসুল শেখ (২৫), পিতা- মোঃ রিপন শেখ, সাং-সাবেকডাঙ্গা, থানা ও জেলা-বাগেরহাটকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমের মা বাবার সনাক্ত মতে তাদের অপহৃত ভিকটিম মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে সে বিভিন্ন প্রলোভন এবং অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের আশায় নাবালিকা ভিকটিমকে অপহরণ করেছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply