মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রিফাত’কে চট্টগ্রাম মহানগরী হালিশহর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আসামি মোঃ রিফাত (২৪) গত ২০ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ডবলমুরিং সার্কেল কর্তৃক ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ধৃত হয়। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চল ডবলমুরিং সার্কেল বাদী হয়ে বর্ণিত আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা ৩৫(১১)২০, ধারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৪১। মামলা রুজুর কয়েকমাস পর আসামী জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় কোর্টে হাজিরা না দেওয়ার আসামীর অনুপস্থিতে বিজ্ঞ আদালত বর্ণিত মামলায় মোঃ রিফাত’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন ঈদগাঁও এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৩ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রিফাত (২৪), পিতা-মোঃ বাবুল, সাং-দরবেশ কাটা, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে
Leave a Reply