রাকিবুল ইসলাম সোহাগ-আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে ময়লা ফেলা ড্রাম নিয়ে ভাংচুর মারামারি আহত তিন পালটাপালটি অভিযোগ মামলা দায়ের আটক একজন
সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর উত্তর পাড়া এলাকায় গত ২২ আগষ্ট এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে আলি হোসেন গং এর পরিবারের কাছে গিয়ে জানা যায় গত ২২ আগষ্ট বিকেলের কোন এক সময় নিশ্চিন্তপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আলি হোসেন এর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মন্ডল এর সাথে ময়লা ফেলা ড্রাম বসানো কে কেন্দ্র করে ঝগড়াঝাটি হয় এর ই জের ধরে নাজিমুদ্দিন মন্ডল এর লোকজন আলি হোসেনের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করে গেটে হামলা চালায় এসময় বাড়ির মহিলারা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। ব (ছবি)বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর
এসময় তারা ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে আশুলিয়া থানা পুলিশ এর একটি চৌকস টিম এস আই মিলন ফকিরের নেতৃত্বে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে ভাংচুরের বিষয়টি নিয়ে নাজিমুদ্দিন মন্ডল সহ তার দুই ছেলে কে নিয়ে মিমাংসা করার উদ্যেগ নেয় পুলিশ ।
এসময় উভয়পক্ষের রেষারেষি ঝগড়াঝাটিতে আতর্কিত ভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে উপস্থিত বকাটে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নাজিমুদ্দিন মন্ডল সহ তার বড় ছেলে আউয়াল এর ওপর হামলা করে এসময় নাজিমুদ্দিন মন্ডলের মাথা ফেটে যায়।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাজিমুদ্দিন মন্ডল কে উদ্ধার করে প্রথমে নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে আহত ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হলে ধামরাই সাস্থ কমপ্লেক্সে রেফার্ড করা হয়। আলি হোসেন এর পরিবার আরো জানান এভাবে এখানে মারামারি হবে পুলিশ এর সামনে আমরা বুঝতে পারিনি আমরা পুলিশের সহায়তা নিতে গিয়ে মারামারির ঘটনায় উল্টো মামলায় পড়েছে আমাদের বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ নাই একজন তো পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছে আর সবাই বাড়ি ছাড়া আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই আমরা এটার সমাধান চাই।।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় নাজিমুদ্দিন মন্ডল এর পক্ষ থেকে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৮/৯ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয় অত্র মামলায় আবুল হোসেন নামের একজন আসামী কে নরসিংহপুর ইথিক্যাল গার্মেন্টসের ভিতর থেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
(ছবি)গুরতর আহত নাজিমুদ্দিন মন্ডল
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা জানান নাজিমুদ্দিন মন্ডল ও আলি হোসেন একই গোত্রের সামান্য একটা ড্রাম নিয়ে মারামারি মোটেও কাম্য নয়।এই বিষয় নিয়ে আমরা স্থানীয় ভাবে বসে একটা সমাধান করবো খুব তারাতাড়ি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা এস আই মিলন ফকির বলেন ৯৯৯ কল পেয়ে ঐ এলাকায় যাই নাজিমুদ্দিন মন্ডল কে আমরা ডেকে নেই ভাংচুরের বিষয়টি তাকে অবগত করি এবং দেখাতে থাকি এসময় কোথা থেকে এত লোকজন উপস্থিত হয় আমরা বুঝতে পারিনি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই রেষারেষিতে আমাদের সামনে মারামারির ঘটনা ঘটে এসময় নাজিমুদ্দিন মন্ডল গুরত্বর আহত হয় আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে নাজিমুদ্দিন একজন আসামি কে আটক করা হয়েছে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।।
Leave a Reply