ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আঘাতপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেছে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি।
শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাত ৭ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রেখে যায় তারা। এরআগে নিহত জাহিদুল ইসলাম রেদোয়ান সিকিউরিটিজ এজেন্সিতে চাকরির জন্য যায়।
নিহত জাহিদুল ইসলাম রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার বৈরামপুর গ্রামের আজমিয়া পাইকারের ছেলে।সাভারের ইমান্দিপুরে থাকতেন তিনি। প্যাডরোলো পানির পাম্পের শোরুমে সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করতেন।
রেদোয়ান সিকিউরিটিজ এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রেদোয়ান হোসেন খন্দকার বলেন, সোলেমান নামে এক বৃদ্ধ জাহিদুলকে আমার অফিসে নিয়ে আসেন চাকরি জন্য। নামাজের ১০ মিনিট আগে আমার সাথে কথা বলে দুই জনেই বের হয়ে জান। একটু পরেই শুনি জাহিদুলের মরদেহ হাসপাতালে। পরে আমি সোলেমানের সাথে ফোনে কথা বলি তিনি জানান অফিস থেকে বেরিয়ে একটি বাসে উঠে তিনি চলে গেছেন। জাহিদুল তার ইমান্দিপুরে বাসায় যাবে বলে অটোরিকশায় জন্য অপেক্ষা করতেছিলেন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমাদের হাসপাতালে দুইজন ব্যক্তি একজন আহত ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যারা মরদেহটি এনেছে তারা রিকশা ভাড়া দেওয়ার কথা বলে পালিয়ে গেছে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব বলেন, বিকেলে পৌরসভার তালবাগ এলাকায় রেদোয়ান সিকিউরিটি এজেন্সিতে চাকরির জন্য যান জাহিদুল। সেখান থেকে মাগরিব নামাজের ১০ মিনিট আগে বের হয়ে আসেন তিনি। তার ঠিক ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরই কপালে ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত জাহিদুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন দুই জন। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে রিক্সাভাড়া দেয়ার কথা বলে তারা দুই জন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। যাবার আগে বলে গেছে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মার গেছেন। আমরা ধারনা করছি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করছি।
Leave a Reply