কক্সবাজারে চাঞ্চল্যকর কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও পতিতাপল্লীতে বিক্রির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভূক্ত অন্যতম প্রধান আসামী হোছাইনকে কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল এলাকা হতে র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। র্যাব-১৫ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপহরণ, ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই এবং মাদকসহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূল ও মামলার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল জানতে পারে যে, গত ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল এলাকার বাসিন্দা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ভিকটিম কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে যায় একটি চক্রের সদস্যরা। পরবর্তীতে চক্রের ০৪ সদস্য ভিকটিমকে ধর্ষণ করার পর চট্টগ্রামের দেহ ব্যবসায়ী একটি চক্রের নিকট আড়াই লক্ষ টাকায় বিক্রি করে পাচার করে দেওয়া হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ৩৯/৪৫৩ তারিখ-১৫/৮/২০২৩। বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর থেকে পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা বৃদ্ধি করে র্যাব-১৫।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ২৩.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল হামজার ডেইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামী মোঃ হোছাইন প্রঃ মাসু (৫০), পিতা-মৃত ফজর আলী, সাং-পূর্ব হামজার ডেইল, খুরুশকুল ইউনিয়ন, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মামলায় বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply