আবু হানিফ-ঢাকার আশুলিয়ায় চার তলার ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আরও একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার ভাদাইল এম এ হাসান বাচ্চুর নিজ মালিকানাধীন ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেশীদের দাবি, দাম্পত্য কলহ থেকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দের জেরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, বাড়ির মালিক এম এ হাসান বাচ্চু, তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম ও তাদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বাচ্চুর ছেলে হিমেল।
স্থানীয়রা জানায়, বাচ্চু মিয়া এনজিও ব্যবসায়ী ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই ঘরে জন্মগ্রহণ করে তার মেয়ে জান্নাতি। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
আজ সকালে তাদের ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তারা বাচ্চু মিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার স্ত্রী ও সন্তান তখনও বেঁচে ছিল। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা মারা যান। নিহত বাচ্চুর পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রতিবেশী ফরিদা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বাচ্চুর স্ত্রী তার মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে দরজা লাগিয়ে দেন। এরপর দুপুরে তার ছেলে হিমেলের চিৎকারে ভবনের চার তালা থেকে দগ্ধ অবস্থায় স্বপ্না, জান্নাতি ও হিমেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না ও জান্নাতিকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমেলকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়ির মালিক বাচ্চুকে মৃত অবস্থায় কক্ষের ভেতরে পাওয়া যায়।
বাচ্চুর ছোট বোন হেনা বেগম বলেন, স্বপ্না বাচ্চুর তৃতীয় স্ত্রী। আগের স্ত্রী অনেক আগে চলে গেছে। হিমেল হচ্ছে সেই প্রথম স্ত্রীর ছেলে। দ্বিতীয় স্ত্রী মিমাংসা করে আলাদা হয়ে গেছে। সে ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি তিনটি মরদেহ একটি বাড়িতে আছে। পুলিশ যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।ঘটনাস্থলে র্যাব-৪এর একটি টিম ঘটনা উদঘাটনের জন্য কাজ করছে।
Leave a Reply