আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শিল্প মালিক-শ্রমিক সহ দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রমিক নেতা হাজী মোঃ ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু বুধবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় তাঁর অফিস কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ অগ্রীম শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেন, ঈদুল আজহা ত্যাগ-তিতীক্ষার এক ঐতিহাসিক অনুপম দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে মনের পশুত্বকে কোরবানি দেওয়ার নাম ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার শিক্ষা আমাদেরকে সকল প্রকার জুলুম-শোষণের মূলোচ্ছেদ করে তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত হয়ে একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে আত্মনিয়োগ করতে উজ্জীবিত করে।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহার শিক্ষা হল আল্লাহর প্রতি একনিষ্ট আনুগত্য করা। দুনিয়াবী সকল ভোগ-বিলাসের আকর্ষণ, সন্তানের স্নেহ, স্ত্রীর ভালোবাসার উর্ধ্বে উঠে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা হল মুসলমানিত্ব। এটা করে গেছেন আমাদের মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আঃ)। জীবনের সর্বাধিক প্রিয় একমাত্র সন্তানকে নিজ হাতে কোরবানি করার কঠিনতম কাজ করতে গিয়ে তিনি আল্লাহর প্রতি অটুট আনুগত্য ও গভীর প্রেম এবং তাওহীদ ও তাকওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। এর মাধ্যমে ইব্রাহিম (আঃ) অনাগত মানুষের নিকট আত্মসমর্পণের বাস্তব শিক্ষা রেখে গেছেন।
ইব্রাহিম (আঃ) আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কোরবানির পশুর সাথে আমাদের মনের পশুত্বকে কোরবানি দিতে হবে। মানুষে মানুষে মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দিয়ে যায়। ঐক্য, একাত্মবাদ, সাম্য-শান্তি, ধৈর্য ও ক্ষমার কথা বলে যায়। আমাদের স্মরণ করে দেয় আমরা সবাই আদম (সাঃ) সন্তান ও এক অভিন্ন পরিবার। ধনী-গরীবের ভেদাভেদ আমাদের মধ্যে থাকতে পারেনা। সুতরাং ঈদুল আজহা উদযাপনের মধ্য দিয়ে শ্রেণি বৈষ্যমের ভেড়াজাল ছিন্ন করে সকল মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হবে।
এদিকে, শিল্প মালিকদের উদ্দেশ্যে করে এই শ্রমিক নেতা বলেন,, আপনারা শিল্পাঞ্চলের সকল শ্রমিক ভাই বোনের ঈদ বোনাস ও বেতনসহ সকল ন্যয্য পাওনাদি ঈদের আগেই পরিশোধ করুন। যাতে করে সকল শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। অন্যদিকে, শ্রমিক ভাই বোনসহ সকলের উদ্দেশ্যে তিনি এয়োও বলেন, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি, তাই ঈদের ছুঁটিতে যারা গ্রামের বাড়ি যাবেন, তারা কেউ তাড়াহুড়ো করবেন না।
সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিজ দ্বায়িত্বে বুঝে নিন এবং পথে অপরিচিত লোকের কোনো কিছু খাবেন না, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে রাখুন ও দূর্ঘটনা এড়াতে সাবধানে চলাচল করুন।নিরাপদে নির্বিঘ্নে মা-বাবা, পরিবার, পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ শেষে আবার নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরে আসবেন। মনে রাখবেন একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
এসময় তিনি সকলের দোয়া প্রত্যাশা করে সকলকে আবারও জানান পবিত্র ঈদুল আজহার অগ্রীম শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক!।
Leave a Reply