জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ বড়াইগ্রাম -গুরুদাসপুর আসনে ব্যারিস্টার আবুহেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু সমর্থন ও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
স্টাফ রিপোর্টারঃমোঃ ইমরান হাসান
নাটোর-৪ বড়াইগ্রাম -গুরুদাসপুর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার আবুহেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি এর মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল (রঞ্জু)
ব্যারিস্টার-এট-ল’ | বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) র সম্ভাব্য প্রার্থী, নাটোর -৪( গুরুদাসপুর – বড়াইগ্রাম) তিনি নাটোর বি এন পি এর জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সমন্বয়ক,গুরুদাসপুর উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা ও সদস্য সংগ্রহ কমিটি।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল (রঞ্জু) একজন সুশিক্ষিত, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনীতিবিদ, যিনি আইন, শিক্ষা ও সমাজসেবার মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। তিনি প্রয়াত মোঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র, ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু র পিতা মোজাম্মেল হক বিএনপির পক্ষ থেকে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গুরুদাসপুরে তাঁর জন্ম এবং বরাইগ্রাম – গুরুদাসপুরে মাটি ও মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মিক বন্ধন তাঁকে রাজনীতির অঙ্গনে একজন সংগ্রামী ও জনমনস্ক নেতায় রূপান্তরিত করেছে।
যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি দেশে ফিরে একজন প্রাজ্ঞ আইন গবেষক ও অধ্যাপক হিসেবে সুদীর্ঘকাল ধরে পাঠদান ও গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন। তাঁর রচিত আইন বিষয়ক ২১টির বেশি গ্রন্থ এবং দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত ৬০টির অধিক গবেষণাপত্র, যার মধ্যে ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিকভাবে উদ্ধৃত—এসবই তাঁর একাডেমিক প্রজ্ঞা ও দক্ষতার সাক্ষ্য বহন করে।
রাজনীতির ময়দানে তাঁর পদচারণা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে। ধারাবাহিক নিষ্ঠা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে তিনি জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সম্প্রতি গুরুদাসপুর উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা ও সদস্য সংগ্রহ কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে, বিশেষত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দমনমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি প্রকাশ্য প্রতিবাদ ও গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এর কারণে তাঁকে পুলিশি হয়রানি ও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে একাধিকবার। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর যখন রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চরমে পৌঁছে, তখন তিনি সাহসিকতার সঙ্গে বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর এর অসংখ্য নির্যাতিত, গ্রেপ্তার হওয়া ও মিথ্যা মামলার শিকার সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান। তিনি তাঁদের জামিন নিশ্চিত করতে আইনজীবী হিসেবে সর্বাত্মক সহায়তা দেন, নিজস্ব তহবিল থেকে মামলা পরিচালনার খরচ বহন করেন এবং বন্দিদের পরিবারের জন্য অর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেন—যা ছিল এক নিঃস্বার্থ, মানবিক ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত।
রাজনীতি তাঁর কাছে কখনোই ক্ষমতা অর্জনের পথ নয়, বরং মানুষের জন্য দায়িত্ব পালনের এক মহান ব্রত। সেই কারণেই তিনি শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ নন, বরং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড যেমন—শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ, গরীব-দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প আয়োজন, কৃষকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে তরুণদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবার অনুপ্রেরণা ও দলীয় আদর্শে নিষ্ঠার সঞ্চার ঘটছে।
এছাড়া, তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত “৩১ দফা ”-এর আলোকে বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর এলাকায় ওয়ার্কশপ, মতবিনিময় সভা ও দলীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন, যাতে করে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতির প্রতি আগ্রহী নতুন নেতৃত্ব বিকাশ লাভ করে এবং গণতান্ত্রিক চেতনা আরও সুদৃঢ় হয়।
আবু হেনা মোস্তফা কামালের রাজনৈতিক দর্শন সুস্পষ্ট ও মানবিক—তিনি মনে করেন, একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে দরকার সৎ নেতৃত্ব, শিক্ষা ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা। নাটোর-৪ আসনের জনগণ তাঁকে শুধু একজন রাজনীতিক নয়, একজন শিক্ষক, সমাজসেবক ও ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে গণ্য করে থাকেন।
তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষ যেন তার নিকট সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন সেই জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইল নং 01757204630 খোলা রাখেন।
তাহার জন্মস্থান ঠিকানা:গুরুদাসপুর বাজার, থানা: গুরুদাসপুর, জেলা: নাটোর।
Leave a Reply