রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের দুদিন পর নববধূর শারীরিক পরিবর্তনে সন্দেহ হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে তাদের পুত্রবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছেলের পরিবার। ওই অভিযোগে অনাগত এ সন্তানটি যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে এবং (ডিএনএ) টেস্ট করে পিতৃ পরিচয় নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
তবে তার স্বামী এই সন্তানের বাবা নয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ওই নববধূ।
নববধূর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, উপজেলার ৭নং লতিবপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মো. মালেক মিয়ার মেয়ের (১৪) সঙ্গে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রেদওয়ান (২৫) কাঁচামাল ক্রয় করতে গিয়ে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৪ জুন তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুদিন পর স্বামী রেদওয়ান এবং তার পরিবারের লোকজন ওই নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে প্রথমে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। তাদের কাছে তার পেটে সন্তান রয়েছে বলে স্বীকার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নববধূর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ননদ, হাসপাতালে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে ডাক্তার জানায়, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রেদওয়ান তার শ্বশুর মালেক মিয়াকে জরুরিভাবে হাসপাতালে আসতে বলেন।
মালেক মিয়া রেদওয়ান এবং তার পরিবারের লোকজনকে বলেন, আপনারা আমার মেয়েকে রেখে চলে যান, বিষয়টি আমরা দেখছি। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চা নষ্টের চেষ্টা করে। কিন্তু বাচ্চার আকার বড় হওয়ায় এবং অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার বয়স কম হওয়ায় কেউ তাকে বাচ্চা নষ্ট করতে সহযোগিতা করেনি।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় অবশেষে নুরুল হক, মিঠাপুকুর থানায় দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই নাবালিকা নববধূর দাবি, এটা কার সন্তান সে তা বলতে পারবে না।
আব্দুল মালেক জানান, ওরা যদি আমার মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে না চায় তাহলে উভয়পক্ষ বসে সমাধান করবো। তাদের কাছে আমার কোনো দাবি নেই। কিভাবে কি হয়েছে আমি তা জানার চেষ্টা করছি।
এদিকে নববধূর স্বামীর দাবি, আমার সঙ্গে বিয়ের তিনমাস আগ থেকে পরিচয়, অথচ সন্তানের বয়স পাঁচ মাস।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এ বিষয়ে ছেলের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
Leave a Reply