*দীর্ঘ ২০ বছর পর নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানা চাঞ্চল্যকর নুর-মোহাম্মদ (৩০)হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মজিবর রহমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ।*
‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, ধর্ষন, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে অদ্য ২৪ জুলাই ২০২৩ খ্রি. তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় টাংগাইল জেলার ধনপুর থানা এলাকা হতে নুর-মোহাম্মদ (৩০)হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মজিবর রহমান (৭০), পিতা- মৃত আবুল হোসেন, সাং- ইরিভিটা, থানা- পূর্বধলা, জেলা- নেত্রকোনাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। উল্লেখ্য, এজাহার ও বিজ্ঞ আদালতের রায় পর্যালোচনা জানা যায়, আসামী মজিবর রহমান ভিকটিম মৃত নুর- মোহাম্মদ, পিতা- মৃত আনছর উদ্দিন, সাং-দশাশী, থানা- পূর্বধলা জেলা- নেত্রকোনা এর বাড়ীতে মাসোয়ারা চুক্তিতে কাজ করত। ভিকটিম মৃত নুর-মোহাম্মদ একটি জীবন বীমা কোম্পানীতে চাকুরী করিতেন। চাকুরীর সুবাধে তাহার নিকট প্রায় সময় নগদ টাকা পয়সা থাকিত। নগদ অর্থের লোভে আসামী মজিবর রহমান *ভিকটিমকে নির্মূমভাবে হত্যা করে পার্শবর্তী বারহাট্টা থানার দেউলি গ্রামের মাটির নিচে পুতে রাখে*। পরবর্তীতে ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ নুর-ইসলাম বাদী হয়ে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার পূবর্ধলা থানার মামলা নং- ০৯(৩)১৯৯৮, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। দীর্ঘ ০৪ মাস পর মামলা তদন্ত চলাকালীন সময়ে আসামী মজিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতারের পর আসামীর দেওয়া তথ্য মতে পার্শবর্তী থানা এলাকা হতে পুতে রাখা লাশের কংঙ্কাল উদ্ধার করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী মুজিবর রহমানকে ২০০৩ সালে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
ধৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হইয়াছে।
Leave a Reply