টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ফলে গর্ভজাত ভ্রুণ হত্যা ও গর্ভবর্তী মায়ের মৃত্যু ঘটানো মামলার প্রধান আসামী ও প্রধান সহযোগীকে মামলার রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
বর্ণিত ঘটনার ভিকটিম (২০) বাদীর বড় মেয়ে। বিগত ৩-৪ বছর পূর্ব প্রেমের সর্ম্পকে জের ধরে একই থানাধীন কলাবাধা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে রাজ্জাক মিয়ার সহিত বিবাহ দেন। সেখানে ৩ মাস সংসার করার পর মিল না হওয়ায় ভিকটিমের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই থেকে রোকসানা বাবার বাড়িতে অবস্থান করে লেখাপড়া ও চুমকী গাথুনি করে টাকা পয়সা আয় করে আসতেছে। ভিকটিম জামালপুর জেলার দিগপাইত রহিমা মোজাফ্ফর স্কুল এন্ড কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে। পড়াশোনা ও পরীক্ষা দেওয়ার সময় বিবাদী মোঃ পলাশ মাত্তা, পিতা-মোঃ উজ্জল মাত্তা, সাং- বালুরচর (বালুয়াটা মাত্তাবাড়ি), থানা ও জেলা- জামালপুর ভিকটিমের সহিত প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিম অন্তসত্তা হলে লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে না বলে আসামী পলাশকে অবহিত করে বিবাহের কথা বলিলে আসামী পলাশ গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে আসামী সুজন ভিকটিমের গর্ভপাত করার জন্য পরিকল্পনা করে। এমতাবস্থায় গত ২৫-০৬-২০২৩ খ্রিঃ তারিখে আনুমানিক রাত ২০০০ ঘটিকার আসামী সুজন মিয়া গর্ভপাত ঘটনোর জন্য ভিকটিমকে ভুল বুঝিয়ে দুই জন অপেশাদার সেবিকা সালেহা আক্তার এবং তার বোন ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানাধীন ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। একই তারিখ রাত ২১০০ ঘটিকার সময় আসামী সালেহা আক্তার ও তার বোন ফাতেমা সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহায়তায় ভাড়া বাসার ০১টি কক্ষ অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে গর্ভে থাকা ভ্রুণকে হত্যা করে। গর্ভপাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ভিকটিমকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানায় ০১টি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা রুজু করে। যাহার ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) তৎসহ ৩০২/৩১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
উক্ত ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়, তদপ্রেক্ষিতে র্যাব ১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব রাফিউদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামী ও প্রধান সহযোগীকে জামালপুর জেলার মাত্তারবাড়ি বালুয়াটা এবং জামালপুর সরিষাবাড়ী পৌরসভাধীন হেলথ কেয়ার ডায়াগনোস্টিক এলাকা হতে মামলার রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
Leave a Reply