রাকিবুল ইসলাম সোহাগ- আশুলিয়া ইয়ারপুরের বাংলাবাজার এলাকায় ১০ শিশু কে ধর্ষন,চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার সময় বলে গেলো ধর্ষকের নাম।
ঢাকার সাভারে ১০ বছরের একটি শিশু মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ধর্ষণকারী হিসেবে প্রতিবেশী চাচার নাম প্রকাশ করে মৃত্যুবরণ করেছে। এ ঘটনায় র্যাবে-৪ আভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
২জুন (শুক্রবার) রাত ১১ টার দিকে নরসিংহপুর বাংলাবাজার এলাকার সিরাজ সরকারের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী সজলকে(২৩) আটক করে র্যাব-৪। আটকের বিষয়টি র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাতটার দিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুটি মারা যায়।
ভুক্তভোগী শিশু মারিয়া আক্তার অনন্যা (১০) আশুলিয়ার নরসিংহপুরের একটি মাদ্রাসায় ক্লাস-টু এর ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম কামাল হোসেন, সে তার বাবার সাথে আশুলিয়ার নরসিংপুর বাংলাবাজার এলাকার শাজাহান সরকারের বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন।
অভিযুক্ত সজল (২৩) নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে । অভিযুক্ত সজল ও ভুক্তভোগী শিশু মারিয়া আক্তার অনন্যা নরসিংপুর বাংলাবাজার এলাকায় একই বাড়ির তিনতলায় ভাড়া থাকতো।
অভিযুক্ত সজল জানায়, ‘সাত মাস হয়েছে সিরাজ সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকি। এর আগে নরসিংপুর স্ট্যান্ডে ভাড়া থাকতাম। আমি বিয়া করছি এক বছর হয়েছে। বউ ইপিজেডে চাকরি করে ও আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করি। মেয়ের বাবার দোকানে আমি বাকি খাই, উনার মেয়ে অসুস্থ আজকে ১৫/২০ দিন থেকে। সে(মেয়ের বাবা) মোবাইল সম্পর্কে কম বুঝে তো প্রায় আমারে ডাক দেয় মোবাইল ঠিক করতে, এইভাবে ধীরে ধীরে সম্পর্ক হয়। মেয়েটাকে আমি আন্টি বলে ডাকতাম আর মেয়েটা আমাকে আঙ্কেল বলে ডাকতো। পরে মেয়ের বাবা বলতো তার মেয়েকে টিকটক বানায়া দিতে ও টিকটক বানানো শিখাইয়া দিতে। আমি টিকটক করে দিতাম। রাত্রে যদি দুইটার সময় চা খেতে যাইতো তাহলেও মেয়ের বাবা আমাকে ডাকতো, সজল আয় চা খাইতে আয়। টুকটাক কাজে মেয়ের বাবা আমারে ডাকতো, সে আমারে ভালো জানতো। শুনলাম নাকি জন্ডিস, মাইয়াটা ১০/১৫ দিন যাবত অসুস্থ ছিল, কালকে শুনছি কবিরাজ দেখাইছিল, কবিরাজে নাকি মারছে। কালকের আগের দিন হাসপাতালে নিয়ে গেছিল। আমাকেও সঙ্গে নিয়ে গেছিল হাসপাতালে। শুনছি চারটার দিকে মারা গেছে, এখন শেষে নাকি আমার নাম দিছে মারা যাওয়ার আগ মুহূর্তে। উপরে আল্লাহ আছে, এখন মানুষের কাছে বর্তমানে আমি জানলাম। সত্যি যদি আমি নির্দোষ হয়ে থাকি তাহলে টেস্ট করলে তো বুঝা যাবে আর যদি দোষী হই তো আমি ধরা খাবো, মেয়ে যেহেতু বলছে তাই এখন বর্তমান আমি সবার চোখে দোষী । তবে আল্লাহ যদি চায় তাইলে প্রমাণে বুঝা যাবে আমি দোষী না।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বল্লেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply