কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন শিলবুনিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩,২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ র্যাব-১৫ কর্তৃক একজন মাদক কারবারী গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের শিলবুনিয়াপাড়া এলাকাস্থ একটি মাদ্রাসার সামনের রাস্তার উপর অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৮.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আশ্রাফ আলী নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ৩,২০০ (তিন হাজার দুইশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-আশ্রাফ আলী (১৯), পিতা-আজিজুর রহমান, মাতা-সাজিদা বেগম, সাং-কলেজপাড়া, ০৬নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপর এক সহযোগীর নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ সে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মাদক কারবারী জানায় যে, সে ও পলাতক মাদক কারবারী দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ এবং চাহিদা মোতাবেক কক্সবাজার’সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশী দামে মাদক বিক্রয় করতো বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
Leave a Reply