
সম্মত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মামার পরিকল্পণায় বোন জামাইয়ের হাতে শ্যালক খুন; পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গত ০২/০২/২০২২ তারিখ সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার নাথেরপাড়ার জনৈক মামুন মিয়ার জমিতে ঝোপের পাশে ভিকটিম রফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের মাতা ছাহেরা বেওয়া (৫৮) বাদী হয়ে ১২ জন এজাহারনামীয় করে ধনাবাড়ী থানার মামলা নং—০১, তারিখ—০৩/০২/২০২২ খ্রিঃ ধারা—১৪৩/৩৪১/৩০২/১১৪ দায়ের করেন। প্রাথমিকভাকে ধনবাড়ী থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করলেও পুলিশ হেডকোয়াটার্র্সে নির্দেশে মামলার তদন্তভার পিবিআই টাঙ্গাইল জেলায় ন্যস্ত হয় এবং এসআই (নিঃ) মোঃ আলমগীর কবির মামলাটি তদন্ত করছেন।
পিবিআই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে যে, এজাহারনামীয় কোন আসামী ঘটনার সাথে জড়িত নয়। পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ১২/১০/২০২৫ তারিখ রাতে ধনবাড়ী থানাধীন নাথেরপাড়া এলাকা থেকে তদন্তে প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ আসামী মকবুল (৫৫)কে গ্রেফতার করে। সে বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে এবং অন্যান্য আসামীদের সম্পৃক্ত করে ফৌঃ কাঃ বিঃ এর ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জবানবন্দি থেকে জানা যায় যে, মামার বাড়ী থেকে প্রাপ্য ওয়ারিশের সম্পত্তি ও গরু চুরির বিষয় নিয়ে ভিকটিম রফিকুলের সাথে তার মামা ও মামাতো ভাইদের এবং জমি ও ঘর ভাঙ্গার বিষয় নিয়ে ভিকটিম রফিকুলের সাথে তার বড় বোন জামাই আসামী মকবুল ও হাফিজুরের সাথে বিরোধ চলতেছিল। ঘটনার কয়েকদিন আগে ভিকটিম রফিকুলের মামা রেহানের বাড়ীতে গিয়ে মকবুল, হাফিজুর, রেহান, জলিল, সেকান্দার ও আলম মিলে ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ভিকটিম রফিকুলের মামাতো ভাই আলম একটি চাপাতি জনৈক মজনু মিয়ার বাড়ীর উত্তর পাশে ধানের বীজ (জালা) ক্ষেতে লুকিয়ে রাখে। মাদক সেবনের কথা বলে ভিকটিমকে তার বাড়ী থেকে ডেকে সেখানে নিয়ে যায়। ভিকটিম রফিকুল সেখানে যাওয়া মাত্রই ক্ষেতের পাশে লুকিয়ে থাকা মকবুল, হাফিজুর, রেহান, জলিল ও সেকান্দার লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে এবং আলম ভিকটিমের মাথায় ও মুখে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে লাশ স্থানীয় মামুন গংদের বিরোধপূর্ন জমিতে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply